
গাজায় ত্রাণ, ভারতে মসজিদের মাইক খুলে নিলো!
ইরান ইজরায়েল যুদ্ধের সময় গাজায় মুহুরমুহুর অভিযান চালিয়েছে ইজরায়েল। ত্রানের ট্রাক গাজায় ঢুকতে বাধা দেওয়ায় ফিলিস্তিনিরা নিজেরাই পাহারা দিয়ে ত্রাণ নিয়াসছে। সাথে ইরানে ৭০০ গুপ্তচর গ্রেপ্তার, ইরানের ২২ শতাংশ মিসাইল জর্ডান আটকে দিয়েছে। এদিকে
ভারতে মসজিদের মাইক খুলে নেওয়া হলো। যাতে লাউডস্পিকারে আজান না দিতে পারে। এনিয়ে ভারতের মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভের ঝড়।
তুরস্কে হিজাব পরায় মুসলিম নারী হেনস্তার শিকার

প্রথমে বলবো ইজরায়েল ইরান যুদ্ধ ও ফিলিস্তিন সম্পর্কে।
ইরান-ইসরাইল যুদ্ধের ১২ দিনে ইসরাইলের দিকে নিক্ষেপ করা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় ২২% ধ্বংস করেছে জর্ডানের বিমান বাহিনী! মুসলিম দেশ হয়ে সম্পুর্ণ ইজরায়েলের হয়ে কাজ করতে দেখা গিয়েছে জর্ডান সরকারের। এর আগে জর্ডান দিয়ে ফিলিস্তিনের ক্ষুদার্থ জনগণের জন্য ত্রাণের ওপর বড়সড় কর লাগিয়েছিলো জর্ডান।
এখন আবার সরাসরি তারা ইজরায়েলের হয়ে কাজ করছে। এদিকে ইরানে প্রথম হামলা চালায় ইজরায়েল এই জর্ডানের আকাশসীমা ব্যবহার করে। হামলার সময় রীতিমতো ইরান ব্যর্থ হয় ইজরায়েলের হামলা ঠাকাতে।
এর অন্যতম কারণ হল বিদেশি গুপ্তচর। ইরানের হামলার আগে সেখানে গুপ্তচর বৃত্তি বৃদ্ধি করা হয়। এবার একনাগাড়ে ৭০০ জন গুপ্তচর গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী; যার ফলস্বরূপ কেবল তেহরানেই প্রায় ১০,০০০ ড্রোন জব্দ করতে পেরেছে দেশটির গোয়েন্দারা।

আর এই ইরান ইজরায়েল যুদ্ধের মধ্যেই ফিলিস্তিনের উপর মুহুরমুহর হামলা চালিয়েই যাচ্ছে ইজরায়েল। ক্ষুদার্ত ফিলিস্তিনিদের মুখের খাবাড় কেড়ে নিচ্ছে। ত্রানের ট্রাক গাজায় ঢুকতে দিচ্ছে না। গাজায় গতকাল শ’খানেক ত্রাণের ট্রাক প্রবেশের কথা থাকলেও প্রবেশ করেছে মাত্র ৮-১০টি ট্রাক, যা প্রয়োজনের তুলনায় একদমই নগণ্য।
যারফলে গাজাবাসী নিজেরাই কিছু করবার পরিকল্পনা করে। তারই অংশ হিসেবে উত্তর গাজার স্থানীয় সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে, সাহায্যের ট্রাকগুলি নিরাপদে গাজা শহরের জাতিসংঘের গুদামে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে, ভারতের মুম্বাই শহরের ৮টি মসজিদ থেকে আযান দেবার লাউডস্পিকার সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে চরম ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। গাজায় ত্রাণ, ভারতে মসজিদের মাইক খুলে নিলো!
মুসলমানদের অভিযোগ, সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ কোনও ধরনের পূর্ব সতর্কতা বা মাপজোখ না করেই মসজিদগুলিতে লাগানো লাউডস্পিকার জোর করে অপসারণ করছে।
তারা জানায়, উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শব্দের মাত্রা ৪৫ থেকে ৫৬ ডেসিবেল সীমায় রাখতে হবে—কিন্তু তা পরিমাপ না করেই আযান দেবার মাইক বা লাউডস্পিকার মসজিদ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

মুসলিম সংগঠনগুলোর দাবি, যদি কোনও মসজিদ শব্দের সীমা লঙ্ঘন করে, তাহলে প্রথমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত নোটিশ পাঠানো এবং প্রয়োজন হলে লাইসেন্স বাতিল করার প্রক্রিয়া অনুসরণ করা। সরাসরি লাউডস্পিকার খুলে নেওয়া বা অপসারণ করাকে তারা অন্যায় এবং পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিহিত করেছে।
তারা আরও জানায়, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সংবেদনশীলতা বজায় রেখে আইন প্রয়োগ করা উচিত এবং কোনও ধরনের পরিদর্শন বা যাচাই ছাড়া এভাবে ব্যবস্থা নেওয়া অনুচিত।গাজায় ত্রাণ, ভারতে মসজিদের মাইক খুলে নিলো!
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিম সংগঠনগুলো প্রশাসনের প্রতি স্বচ্ছতা ও আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। মুম্বাই পুলিশ বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
মোদি সরকারের সময় ভারতে মুসলমানদের ওপর চরম নির্যাতন শুরু করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। তারই অংশ হিসেবে মসজিদে আযান দেওয়া মাইক পর্যন্ত খুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কোনো সময় মসজিদের সামনে এসে হিন্দুরা ইচ্ছে করে গানবাজনা করছে যাতে নামাজ পড়তে অসুবিধা হয়।