সোমবার, জুলাই 7

ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য পাকিস্তানের মনোনয়ন

ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য পাকিস্তানের মনোনয়ন –পাকিস্তান সরকার আজ সামাজিক মাধ্যম একটি অভূতপূর্ব ঘোষণা করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড জে. ট্রাম্পকে ২০২৫ সালের ভারত-পাকিস্তান সংকট নিরসনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য তাকে মনোনীত করেছে। 

এই সিদ্ধান্তটি পাকিস্তানের একটি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা আঞ্চলিক শক্তিসম্পন্নতা ও আন্তর্জাতিক প্রভাব বৃদ্ধির লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। সংকট নিরসনে ট্রাম্পের ভূমিকা পাকিস্তান সরকারের মতে, ট্রাম্পের “নির্ণায়ক কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ ও পীঠভূমিকা” ২০২৫ সালের মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত সংঘাতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করেছে।

এই সংকটটি মে ৬, ২০২৫ সালে ভারতের “অপারেশন সিন্দুর” নামে পরিচিত সামরিক অভিযানে শুরু হয়, যেখানে ভারত পাকিস্তান-প্রশাসিত কাশ্মীরে নয়টি স্থানে হামলা চালায়। এটি ২০১৯ সালের পরে সবচেয়ে বড় সামরিক সংঘাত হিসেবে বিবেচিত হয়। 

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ট্রাম্প নিজেই এই সংঘাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে একটি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন, যা দুটি পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব শান্ত করেছে।

তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই দাবিকে অস্বীকার করে বলেছে যে, সংঘাতের সমাধান দ্বিপাক্ষিক কথাবার্তা ও সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে সরাসরি আলোচনার ফলাফল। পূর্বতন ভারতীয় দূতাবাস নিরুপমা মেনন রাও জানিয়েছেন,ট্রাম্পের মধ্যস্থতা ভারতের দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলোকে জটিল করে তুলেছে এবং দেশটির স্বাধীনতার চিত্রকে প্রভাবিত করেছে। 

ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া ফক্স নিউজ-এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০ জুন, ২০২৫ সালে ট্রাম্প নোবেল পুরস্কারের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় বলেন, “আমি চার-পাঁচবার এটি পেতে পারতাম। তবে তারা শুধুমাত্র লিবারালদের এই পুরস্কার দেয়।”

তিনি আফ্রিকার রুয়ান্ডা ও কঙ্গোর মধ্যে শান্তি চুক্তি স্থাপনের কথাও উল্লেখ করেন, যা সাম্প্রতিককালে তাঁর কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে গণ্য হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমি ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধ বন্ধ করেছি, তবুও নোবেল পাব না।”ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য পাকিস্তানের মনোনয়ন

পাকিস্তানের কৌশল পাকিস্তানের এই মনোনয়ন একটি বিরল কৌশল হিসেবে দেখা যাচ্ছে, কারণ দেশটির নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে শুধুমাত্র দুজন লোক পুরস্কৃত হয়েছেন—অবদুস সালাম (১৯৭৯, পদার্থবিজ্ঞান) এবং মালালা ইউসুফজাই (২০১৪, শান্তি)। 

এর মধ্যে শান্তি বিভাগে কোনো পুরস্কার পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপটি পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা হতে পারে, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে চলমান বিবাদের মধ্যে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া এই সিদ্ধান্তের পর বিশ্বব্যাপী মতামত বিভাজিত। যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প সমর্থকরা এই মনোনয়নকে তার নেতৃত্বের প্রমাণ হিসেবে দেখছেন, তবে ভারতীয় রাজনৈতিক বৃত্তে এটি বিরোধিতা পাচ্ছে। ট্রাম্পের মধ্যস্থতাকে ভারত “অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ” হিসেবে বিবেচনা করছে, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে। 

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নোবেল কমিটি এখনও এই মনোনয়নের উপর কোনো সরকারি মন্তব্য জারি করেনি। তবে ট্রাম্পের পূর্ববর্তী কূটনৈতিক সাফল্য (যেমন রুয়ান্ডা-কঙ্গো চুক্তি) এবং তাঁর আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার ইতিহাস বিবেচনা করে, এই মনোনয়ন আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে। 

পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ কি শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহতি, নাকি আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ – এটি সময়ের সাক্ষ্য পাবে।এখন দেখার বিষয় সত্যিই কি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামীতে শান্তিতে নোবেল পায় কিনা? আপনার মতামত কি সত্যিই কি এবার ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তিতে নোবেল পুরুষ্কার পায় কিনা? 

 (লেখকের মন্তব্য: এই প্রতিবেদন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এক্স পোস্ট এবং ইন্টারনেটে উপলব্ধ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে।)

Muslim Observer + BD MATJAR ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য পাকিস্তানের মনোনয়ন

Share on your Account

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।