
কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিন কে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও দিলো না বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তদের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে খ্যাত আর্জেন্টিনা। এমনকি তারা চাই, সেখানে শুধু ইজরায়েল রাষ্ট্র থাকুক। এদিকে ফিলিস্তিনের যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত হুসাম জোমলোট, বলছেন ফিলিস্তিন ইজরায়েলের আগে থেকে আছে তাই যারা যুক্তরাজ্যের এই স্বীকৃতি দেওয়াকে দয়া, উপহার এমনটি ভাবছেন, তাদের কে বলি, এটি দয়া নয় এটি আমাদের অধিকার। এদিকে বুজরাইলের আহত সৈন্য বলছেন, আমার স্বপ্ন ফিলিস্তিনের সবাই কে হত্যা করা। বুজরাইলি সাংবাদিক দিলেন সুভকামনা।
প্রথমে বলি, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া প্রসঙ্গে। দীর্ঘ রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের পর অবশেষে কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া একযোগে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
মঙ্গলবার এক যৌথ ঘোষণায় তারা জানায়, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাধান আনতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশগুলো স্পষ্ট করেছে যে, দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান ছাড়া ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের অবসান সম্ভব নয়।

কিন্তু অনেকে বলছে, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিন কে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ফিলিস্তিনের ওপর দয়া দেখালো, উপহার দিলো । পশ্চিমা যে মানবতার ফেরিওয়ালা তা জানান দিলো। এমনই এক প্রশ্ন করা হয় ফিলিস্তিনের ইউকে-এর রাষ্ট্রদূত হুসাম জোমলোটকে।
তিনি সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রস্বত্বের স্বীকৃতি একটি অবিচ্ছেদ্য অধিকার, যা উপহার বা অনুগ্রহ নয়, বরং ইসরায়েলি প্রচারণার বিরুদ্ধে যুক্তিসহ একটি দাবি।
যারা দাবি করছে, এই স্বীকৃতি হামাসকে সুবিধা দেবে। তারা আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে কিছুই জানে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই অধিকার ইসরায়েল ও হামাসের আগে থেকেই বিদ্যমান। যখন ইজরায়েল, হামাস কেউ ছিলো না তখনও ফিলিস্তিন ছিলো এবং এটি ন্যায় ও স্বনির্ধারণের একটি বিষয়, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হওয়ার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

তবে লাতিন আমেরিকার দেশ ও বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তদের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে খ্যাত আর্জেন্টিনা এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত হয়নি। দেশটির সরকার জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন আলোচনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এমনকি ভারত পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পক্ষ হয়ে ভোট দিয়েছে কিন্তু আর্জেন্টিনা দেয়নি। মাত্র ১০ টি দেশ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে তারমধ্যে একটি আর্জেন্টিনা।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কানাডা, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্তকে “ঐতিহাসিক” আখ্যা দিলেও ইসরায়েল,আমেরিকা, আর্জেন্টিনা তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, আর্জেন্টিনার ফিলিস্তিনের বিপক্ষে থাকা আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ভিন্নধর্মী বার্তা দিলেও পশ্চিমা প্রভাবশালী দেশগুলোর এ স্বীকৃতি ভবিষ্যতে আরও দেশকে, এই একই পথে এগিয়ে নিতে পারে।
এদিকে বুজরাইলের এক সাংবাদিক, আহত বুজরাইলি সৈন্যকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। এক পর্যায়ে ওই সাংবাদিক বলেন, আপনার স্বপ্ন কি? তখন ওই সৈন্য বলেন, বর্তমানে আমার একটাই স্বপ্ন ফিলিস্তিন কে শেষ করা। সাথে ফিলিস্তিনের সকল মানুষ কে হত্যা করা। তখন ওই সাংবাদিক হাসতে হাসতে তাকে গুডলাক উইস করেন অর্থাৎ শুভকামনা জানান।
এ দ্বারা বোঝা যায়, বুজরাইলের সাংবাদিক, সৈন্য, সাধারণ ইহুদি সবাই আসলে কি চাই। এখানো যদি মুসলিম উম্মাহ নিরব ভুমিকা পালন করে তাহলে ফিলিস্তিনের পক্ষে কারা দাড়াবে?