
কুষ্টিয়ায় ৩৮ মন্দিরে অসুরের মুখে দাড়ি!
কুষ্টিয়া জেলার ৩৮ টি মন্দিরের পূজা মন্ডপে অসুরের মুখে অস্বাভাবিক দাড়ি উপস্থিত লক্ষ্য করা গেছে। ঘটনাটি সোসিয়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হবার পর, জেলা প্রশাসন তৎপর হয়ে ওঠে। তারা ওসুর গুলোর দাড়ি লাল কাপড় ও গামছা দিয়ে ঢেকে দেন। যাতে দাড়ি দেখা না যায়।
এই খবর জানাজনি হবার পর, আরো কয়েকটি জেলায় কিছু পূজা মন্ডপে একই চিত্র দেখা গেছে। বালিয়াডাঙ্গা, ঠাকুরগাঁও সহ কয়েক জায়গায় অসুরের মুখে এমন দাড়ি দেখা গেছে। ছবি গুলো একসাথে করলে কিছু সাদৃশ্য পাওয়া যাচ্ছে।
বর্তমান এক্স ও ফেসবুকে এমনই কয়েকটি ছবি ভাইরার হবার পর, মুসলমানদের দাবি,হিন্দুরা ইচ্ছে করে মুসলমানদের খলনায়ক সাজিয়েছে। পূজার সময় অসুরের জায়গায় শত্রুদের মুখ দেওয়া নতুন কিছু নয়। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে।
ভারতে মুসলিমদের মৌলিক অধিকার প্রশ্নের মুখে?

কিন্তু সেটি ভারতে, বাংলাদেশে নই। এবারও ভারতের কলকাতায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মুখ অবয়কে অসুর তৈরি করে। কিন্তু বাংলাদেশের মতন মুসলিম প্রধান দেশে যে, এমনটি ঘটনা ঘটবে তা কেউ ধারণাও করেনি। কুষ্টিয়ায় ৩৮ মন্দিরে অসুরের মুখে দাড়ি!
কিছু হিন্দুপন্ডিতের মতে, এগুলো নিঝক ঝামেলা করা। ওসুরের মুখে দাড়ি থাকলে কি তারা মুসলমান হয়ে যাবে নাকি? ভারতের কিছু সোসিয়াল মিডিয়া সাইট এটাকে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর নির্যাতন বলে প্রচার করছেন। তাদের মতে তাদের পুজামন্ডপে একজন মুসলিম হয়ে কিভাবে ওসুরের মুখ ঢেকে দেয়।এমন নানা রকম নিউজ করছে তারা।
কিন্তু বাংলাদেশের পূজা উদযাপন পরিষদ অসুরের মুখে দাড়ি প্রসঙ্গে বলেছে, “এর নেপথ্যে যা বা যারাই থাকুক না কেন ? বাংলাদেশের মানুষের অভূতপূর্ব ঐক্যে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না। যতই ষড়যন্ত্র করুক কেন? বাংলাদেশে ধর্মীয় দাঙ্গা বাধাতে পারবেন না।

এটিকে শান্তির বার্তা বলে প্রচার করলেও কিছু কিছু মুসলমানদের দাবি, এটি মূলত বাংলাদেশের মুসলমানদের প্রতি হুমকি স্বরুপ । অর্থাৎ নেপথ্যে যে বা যারা থাকুক না কেন? তাদের ওপর কোনো অ্যাকশন নেওয়া হবে না। দাড়িওয়ালা অসুরের মূর্তিগুলো পরিবর্তন করা হবে না। শুধুমাত্র মুখে গামছা দিয়ে ঢেকে দেওয়া যথেষ্ট নয়।
এদিকে অনেকে বলছে, এটি নিঝক একটি সাধারণ ঘটনা। অসুরের মুখে দাড়ি থাকলে কি হয়? আবার কেউ কেউ বলছে, এটি ইচ্ছে করে সুপরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। যাতে বাংলাদেশে ধর্মীয় দাঙ্গা বাধে। যারফলে দেশে অস্বস্তি কর পরিবেশ তৈরি হবে আর যার সুযোগ একটি পক্ষ নিবে। কুষ্টিয়ায় ৩৮ মন্দিরে অসুরের মুখে দাড়ি!
বাংলাদেশ বহু সংস্কৃতির দেশ। তাই বাংলাদেশে নানা ধরনের উৎসব পালন করা হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই ধর্মীয় স্বাধীনতা কাজে লাগিয়ে, যদি কোনো পক্ষ আর একে পক্ষকে কটুক্তি করে তাহলে ঝামেলা বেধে যেতে পারে। তাই বাংলাদেশের সকল ধর্মের মানুষ কে এবিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।