
ভারতে শিক্ষার্থীদের দিয়ে গণেশের মূর্তি তৈরির অভিযোগ?
শিক্ষার নামে হিন্দু সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভারতের স্কুল গুলোতে। স্কুলের সকল ছাত্রীদের দিয়ে গণেশের মুর্তি তৈরি করানো হচ্ছে। আসল বিষটি কি তা জানাবো? সাথে, ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায়, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আইন পাশ করার দাবি জানালেন সূর্য সাগর নামে একজন হিন্দু সংগঠনের সদস্য।
প্রথমে বলি,স্কুলের হিন্দু মুসলিম উভয় ছাত্রীদের দিয়ে বাধ্যতামুলক ভাবে মুর্তি তৈরি করে নেওয়া প্রসঙ্গে। ভারতের মধ্যপ্রদেশে ৩৫ টি স্কুলের ৫০০০ হাজারেও বেশি শিক্ষার্থীদের দিয়ে গণেষের মুর্তি, বাধ্যতামুলক ভাবে তৈরি করে নেওয়া হয়েছে।
যেখানে আগে পরিকল্পিত ভাবে মাটি তৈরি করে রাখা হয়েছিলো। এমনই একটি নিউজ প্রকাশ করেছে ভারতের বেসামরিক একটি নিউজ চ্যানেল। সেই ভিডিও আবার দ্যা মুসলিম নিউজ তাদের এক্স হ্যান্ডলে প্রকাশ করেছেন।
ইজরাইলের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করলো তুরস্ক!

প্রকাশিত ভিডিওতে নিউজ রিপোর্টাের দাবি, মুসলিম ছাত্রীরাও নাকি? চরম ভক্তির সাথে মুর্তি তৈরি করেছে। এছাড়াও স্কুলের ছাত্রীদের শপথ করানো হয় যে, তারা গণেশের উৎসবে শুধু গণেশেরই মূর্তি তৈরি করবে ও শুধুমাত্র তারই পুজা করবে।
দ্যা মুসলিম নিউজের দাবি,ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাইসেনের একটি বেসরকারি স্কুলে ‘ন’ থেকে ‘নামাজ’ এবং ‘ম’ থেকে ‘মসজিদ’ পড়ানোর অভিযোগ এনে হিন্দু সংগঠনগুলি স্কুলটির স্বীকৃতি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। তারপর থেকেই বিভিন্ন স্কুলে বাধ্যতামুলক ভাবে হিন্দু সংস্কৃতি শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, এক স্কুলে প্রত্যেক ধর্মের শিক্ষার্থীরাই পড়ালেখা করে। আর এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সব শিশুদের ওপর, কোনো নির্দিষ্ট ধর্মীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। এবিষয়ে শিক্ষাবিদদের ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। যাতে কোনো ধর্মীয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।
আসলে বর্তমকনে, ভারতে মুসলমানদের নিয়ে যে, কি পরিমাণে নেগেটিভি ছড়ানো হচ্ছে, তা সূর্য সাগর নামে একজন হিন্দু রক্ষক দলের সদস্যের ভাইরার হওয়া ভিডিও দেখে বুঝা যায়। যেখানে তিনি বলছেন,
“এই জিহাদিরা প্রতিদিন ৯০ হাজার শিশু জন্ম দিচ্ছে। এমন একটি প্রজন্ম যারা সন্ত্রাসবাদকে তাদের ধর্ম হিসেবে বিবেচনা করে। যদি এই হারে হিসাব করা হয় তাহলে, ১০ বছরে ৩২ কোটি মুসলিম বেড়ে যাবে, যা দেশের জনসংখ্যার চিত্র বদলে দেবে। সরকার যদি দেশের মঙ্গল চায়, তাহলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন পাস করতে হবে।

আর যারা এর বিরোধিতা করবে তাদের সাথে জনগণ ঠিক সেই আচরণ করবে, যেমন নাথুরাম গডসে গান্ধীর সাথে করেছিলেন। অর্থাৎ সরাসরি প্রাণহানির হুমকি দিচ্ছেন সুর্য সাগর নামে ওই ব্যক্তি।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতে সম্প্রতি মুসলিম জনসংখ্যা বহুগুনে বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে অন্য ধর্মের জনসংখ্যা থেকে মুসলিম জনসংখ্যা অনেক গুনে বেড়েছে। সাথে অন্য ধর্ম থেকে মুসলিম ধর্মে রুপান্তর হওয়া প্রবণতা বেড়েই চলেছে। যা হিন্দু সংগঠনের সদস্যদের মাথায় চিন্তার ভাজ ফেলেছে।
যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে ভারতের রাজনীতিতে আমুল পরিবর্তন সাধিত হবে। প্রত্যেক ধর্মের মানুষের সমান অধিকার দিতে হবে। আর এটা কিছু দল কোনোভাবেই মেনে নিতে চাইছে না। এজন্য তারা তড়িঘড়ি করে বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তারা কোনোমতেই তাদের হাত থেকে ক্ষমতা বেরিয়ে দিতে চাইনা।